অকালে চুলপড়া ও টাক্ হওয়ার কারণ সমূহ:

  • চুলপড়া ও টাক্ নিয়ে দীর্ঘ গবেষণায় চিকিৎসা বিজ্ঞান ও  ভেষজ গবেষকগণ  উদ্ভাবন করেছেন, নিম্নের যে কোন রোগ ও সমস্যায় আক্রান্ত হলেই চুলে প্রভাব পড়ে চুলপড়া শুরু হয়।
  • খাদ্য-দ্রব্য ও ফল-মূলে ক্ষতিকর কেমিক্যাল থাকা
  • আয়রনযুক্ত ও লবণাক্ত পানির ব্যবহার
  • চুলে কেমিক্যালযুক্ত হেয়ার কালার, ক্রীম, জেল, তৈল, প্রসাধনীর ব্যবহার এবং হিট দেওয়া
  • দীর্ঘদিন বিভিন্ন এন্টিবায়োটিক ওষুধ সেবন
  • হঠাৎ মানসিক চাপ বেড়ে যাওয়া
  • পুষ্টিকর খাদ্যের অভাব
  • দীর্ঘস্থায়ী পেটের পীড়া বা গ্যাষ্ট্রিক-আলসারে আক্রান্ত হওয়া
  • প্রতিনিয়ত কোষ্ঠকাঠিন্য লেগে থাকা
  • টায়ফয়েড রোগে আক্রান্ত হওয়া
  • কিডনি সমস্যায় আক্তান্ত হওয়া
  • কোন কারণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়া
  • দীর্ঘক্ষণ রীতিমত মাথায় হেলমেড্ পড়া
  • মাথায় অন্যের চিরুনি ও টাওয়াল ব্যবহার করা
  • ভেজা চুল শুকাতে গামছা দিয়ে উল্ঠা পাল্টা জোরে জোরে চুল ঘষাঘষি করা
  • বংশগত সমস্যা
  • মাথার ত্বক্ খুশকীতে আক্রান্ত হওয়া
  • থাইরয়েড্ ও প্যারাথাইরয়েডে আক্রান্ত হওয়া
  • হরমোনের অস্বাভাবিকতা
  • জন্ডিসে আক্তান্ত হওয়া
  • হেয়ার ফ্যলিকল্স এর নিষ্ক্রিয়তা বা রোগাক্রান্ত হওয়া
  • ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়া
  • ফাংগাসের প্রদাহ
  • লিভারের সমস্যায় আক্রান্ত হওয়া
  • দীর্ঘক্ষন চুল ভেজা রাখা ও ভেজা চুল আঁচড়ানো
  • হঠাৎ ওজন কমে গেলে বা বেড়ে গেলে
  • চুলে গরম পানি বা গরম বাতাসের ব্যবহার
  • মাথায় চর্মরোগ হওয়া
  • মাঝে মধ্যে চুলে ভিটামিন, আমিষ ও খনিজসমৃদ্ধ তৈল ব্যবহারে অনীহা।
  • ভেজা চুল শুকাতে মাথা কাত করে হাত দিয়ে চুলে জোড়ে জোড়ে বাড়ী মারা
  • মাথায় তেল লাগানোর সময় জোড়ে জোড়ে ঘষাঘষি করা
  • মাথায় তেল লাগিয়ে না ধুয়ে ১২/১৩ ঘন্টার বেশী রেখে দেওয়া
  • দীর্ঘদিন এন্টিবায়োটিক ঔষুধ সেবন করা
  • ঘুম কম হওয়া ও অধিক রাত্রি জাগরণ
  • লবনাক্ত পানিতে মাথা চুবিয়ে সাতার কাটা বা একাধিকবার গোসল করা
  • মহিলাদের অনিয়মিত ঋতুস্রাব ও লিকুরিয়ায় আক্রান্ত  হওয়া
  • প্রতিনিয়ত জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি সেবন করা।
  • দূর্বল চুলে হিট দিয়ে চুল স্ট্রেট করা, কার্লিং করা,বিনিপাম করা
  • সন্তান প্রসব,গর্ভপাত ও মৃত সন্তান প্রসবের পরবর্তী ১-৬ মাস

উপরোক্ত রোগ ও বিষয়গুলির পাশাপাশি চুলপড়া ও টাক্ পড়ার অনেকগুলি কারণ রয়েছে। সুতরাং চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া রেডিমেড যে কোন হেয়ার অয়েল ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন এবং চুলের সুরক্ষার্থে বৎসরে ১ বার চুলের অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।