







চুলপড়া ও টাক্ নিয়ে দীর্ঘ গবেষণায় চিকিৎসা বিজ্ঞান ও ভেষজ গবেষকগণ উদ্ভাবন করেছেন, শরীর কোন রোগে আক্রান্ত হলেই চুলে তার প্রভাবে চুলপড়া শুরু হয়। সুতরাং চুলপড়া ও টাকপড়ার সমস্যায় পরীক্ষা ও চিকিৎসা করে ভিটামিন, আমিষ ও খনিজ সমৃদ্ধ হেয়ার অয়েলের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় খাবার ও ভিটামিনযুক্ত ঔষধ সেবনে অভ্যস্ত হউন। ইদানিং অনেক হেয়ার অয়েল কোম্পানী পত্র-পত্রিকা ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার বিজ্ঞাপনকে পুঁজি করে রোগীর চেহারা না দেখে সমস্যাগ্রস্ত চুল বা টাকের জন্য শুধু মোবাইল ফোনে কথা বলে চুলের ঔষধের নামে সাধারণ একটি হেয়ার অয়েল কুরিয়ার সার্ভিস বা ডাকযোগে রোগীর ঠিকানায় পাঠিয়ে দিচ্ছে অথবা কোম্পানীর নিজস্ব সেলসম্যানকে দিয়ে বিভিন্ন দোকান এবং হোম সার্ভিসের নামে সরাসরি রোগীর বাসস্থান বা কর্মস্থলে গিয়ে হেয়ার অয়েলটি বিক্রি করছে। এই বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত। কারণ প্রত্যেকটা হার্বাল উপাদানের আলাদা আলাদা গুণাগুণ রয়েছে এবং হার্বাল উপাদানের সংমিশ্রণ একজন রেজিষ্টার্ড চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে আধুনিক বিজ্ঞানভিত্তিক না হলে, একটির সাথে অপরটির মিশ্রণে গুণাগুণ নষ্ট হয়ে যায় অথবা অনভিজ্ঞ ব্যক্তির মাধ্যমে র-মেটেরিয়ালস এর সংমিশ্রণের সাংঘর্ষিকতায় বিষাক্ততা তৈরী হয়, যা চুলের ভিতরের ও বাহিরের অঙ্গ উপাদানকে ক্ষতিগ্রস্থ ও কার্যহীন করে তুলতে পারে। তাছাড়া শুকনো চুল, তৈলাক্ত চুল, চিকন ও পাতলা চুল, চুলের আগা ফেটে গেলে, চুলের গোড়া ভেঙ্গে গেলে, চুল ধূসর হয়ে গেলে, চুলে ফাঙ্গাস হলে, মাথায় চর্মরোগ হলে, চুলে খুশকী হলে, চুল পড়ে গেলে, টাক্ পড়লে এবং চুলের বৃদ্ধির জন্য বয়স ও লিঙ্গ ভেদে আলাদা আলাদা তেলের পাশাপাশি আলাদা আলাদা প্রোডাক্টের পাশাপাশি চিকিৎসা ও পরামর্শ নেওয়া উত্তম। যাহা শুধুমাত্র একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের কাছ থেকেই পাবেন। এ সকল সমস্যাসমূহ পাশ কাটিয়ে রোগের পরীক্ষা বা চিকিৎসা না করে, সর্বরোগের মহৌষধ হিসেবে সকল বয়সের ও সকল রোগের জন্য একটি মাত্র সাধারণ হেয়ার অয়েল আপনার জন্য কতটুকু কার্যকর ও বিজ্ঞানভিত্তিক তা একবার ভেবে দেখুন।