চুলপড়া ও টাকের সমস্যায় পরামর্শ

 

  • চুলের সমস্যার সমাধানে চুলের অভিজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে চুলের পরীক্ষা ও চিকিৎসা না করে যে কোন ঔষধ সেবন বা হেয়ার অয়েল ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।
  • রেজিষ্টার্ড চিকিৎসক ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের তৈরী করা চুলের প্রোডাক্ট ব্যবহারে সতর্ক থাকুন।
  • কি কি কারণে অকালে চুল পড়ে যায় এবং টাকের সৃষ্টি হয়, চিকিৎসকের কাছ থেকে ভালো ভাবে জেনে নিয়ে সর্তক থাকুন।
  • প্রথমে কোন ব্যক্তিই টাকের সমস্যায় আক্রান্ত হয় না, অধিকাংশ টাকই প্রথমে চুলপড়া দিয়ে শুরু হয়। তখন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তা অনেকটা প্রতিরোধ করা যায়।
  • হেয়ার অয়েলের আকর্ষনীয় বিজ্ঞাপন দেখে অথবা মোবাইলে কথা বলে চুল সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা ও চিকিৎসা না করে যে কোন হেয়ার অয়েল ব্যবহারে সতর্ক হউন।
  • হেয়ার অয়েল ব্যবহারের পাশাপাশি আক্রান্ত রোগ-ব্যধির চিকিৎসা না নিলে, চুলপড়া বন্ধ করা বা টাক্ মাথায় চুল গজানোর চিন্তা পরিত্যাগ করুন।
  • চুলের উপযোগী ভিটামিন, আমিষ ও খনিজসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন।
  • সাধারণ চুলে প্রতি সপ্তাহে ৩ বার ভিটামিন, আমিষ ও খনিজসমৃদ্ধ হেয়ার অয়েল ব্যবহার করুন।
  • শারীরিকভাবে যারা নিজেকে সম্পূর্ণ সুস্থ বলে দাবি করেন, তাহলে অবশ্যই তাদের মাথা ভর্তি চুল থাকবে, এটা বিশ্বাস রাখুন।
  • শুধুমাত্র বাহ্যিক অংশে হেয়ার অয়েল ব্যবহারে শরীরের অভ্যন্তরের রোগ-ব্যাধি সেরে যায় না।তাই তেল ব্যবহারের পাশাপাশি যথাযথ ঔষুধ সেবনেরও প্রয়োজন। 
  • চুলের চিকিৎসা পরবর্তী দীর্ঘস্থায়ী চুলের সুরক্ষায় সপ্তাহে ৩ দিন কেমিক্যালমুক্ত, আমিষ, ভিটামিন ও খনিজ সমৃদ্ধ হেয়ার অয়েল ব্যবহার করে পুনরায় চুল ও টাকপড়ার সমস্যা এড়িয়ে চলুন।
  • ১০০% কেমিক্যালমুক্ত হারবাল শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। *চুলে কেমিক্যালযুক্ত ক্রীম, জেল, তৈল, প্রসাধনী, হেয়ার কালারের ব্যবহার ও হিট দেওয়া থেকে বিরত থাকুন

যেহেতু চুল চিকিৎসা বিজ্ঞানের একটি অংশ এবং সারা বিশ্বে স্বীকৃত, সেহেতু আপনার মনে রাখতে হবে চুলের সমস্যায় আক্রান্ত রোগীর সুস্থতার জন্য হেয়ার অয়েল অবশ্যই একটি ঔষুধের সমতুল্য। অথচ এই ঔষধটি সাধারণ মুদি দোকান এবং ছোট-খাট স্টেশনারী দোকানেও পাওয়া যায়। যাহা পাওয়ার কথা ছিল একমাত্র ঔষধের দোকান অথবা চিকিৎসকের চেম্বারে। যেহেতু ঔষধী গুণ সম্পন্ন হেয়ার অয়েলটি ক্রয়ের পূর্বে রোগীর আক্রান্ত রোগ নিরাময়ের জন্য বয়স ও রোগ ভেদে তাহার জন্য উক্ত হেয়ার অয়েলটি প্রযোজ্য কিনা এ সংক্রান্তে রোগের পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য রোগীকে সুপরামর্শ দেওয়ার জন্য,ঐ সকল দোকানে বা ষ্টোরে কোন চিকিৎসক নাই, সেহেতু ঐ দোকান গুলো বা ষ্টোর থেকে চুলপড়া বা টাকপড়ার সমস্যা দূরীকরণে ঔষধ হিসেবে কোন হেয়ার অয়েল ক্রয় করা বা ব্যবহার করা সঠিক নয় *চুল পড়ার সমস্যা দেখা দিলেই সাথে সাথে চুলের অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চুলপড়া ও টাকের সমস্যা এড়িয়ে চলুন। চুলকে স্বাভাবিক ও সমস্যামুক্ত রাখতে বৎসরে একবার চুলের অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।