চুলপড়া ও টাকের চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

 

চুল মানুষের সৌন্দর্য্য ও সুস্বাস্থ্যের প্রতীক। মানুষের যত যোগ্যতাই থাকুক না কেন, অন্তত মানানসই চুল না থাকলে জীবনে অনেকগুলো সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যায়। প্রাচীন যুগ থেকে মহিলা ও পুরুষ চুলের সৌন্দর্য ও সুরক্ষায় বিভিন্ন তেল ব্যবহার করে আসছে। সে যুগে বিশুদ্ধ খাদ্য-দ্রব্য, দূষণমুক্ত পরিবেশ ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের কারণে সাধারণ তেল ব্যবহার করেও সুফল পেত। কিন্তু বর্তমানের দূষিত পানি ও পরিবেশ, পারমাণবিক তেজষ্ক্রিয়তা ও জলবায়ুর বৈরী প্রভাব, ভেজাল খাবার ও রাসায়নিক মিশ্রিত হেয়ার অয়েল ব্যবহারের কারণে মানুষ দিন দিন বিভিন্ন রোগ-ব্যাধির পাশাপাশি, অধিকহারে চুলপড়ার সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছে এবং ক্রমান্বয়ে চুল পড়তে পড়তে টাকে আক্রান্ত হচ্ছে।পৃথিবীর প্রায় ৮০% লোকই চুলের সমস্যায় আক্রান্ত, যার অধিকাংশই পুরুষ। কোন রোগে শরীর আক্রান্ত হলেই চুলপড়া শুরু হয়। সুতরাং বর্তমান সময়ে চুলের সমস্যা দূরীকরণে আক্রান্ত রোগের পরীক্ষা ও চিকিৎসা করে হেয়ার অয়েলের পাশাপাশি ঔষধও সেবন করা উত্তম। বর্তমানে চুল চিকিৎসা বিজ্ঞানের একটি অংশ হিসেবে সারাবিশ্বে স্বীকৃত। শুধু শরীরের বহিরাংশে ব্যবহারে শরীরের আভ্যন্তরীণ রোগ-ব্যাধি সেরে গেলে, বিশ্বে হাজার হাজার ওষুধ তৈরীর কারখানার প্রয়োজন হতো না। বিশেষ ক্ষেত্রে ৫% রোগীর চুলপড়ার সমস্যায় দোকানের রেডিমেড হেয়ার অয়েল প্রযোজ্য। তাছাড়া চুলপড়ার অনেকগুলি সমস্যা শুধু ঔষধ সেবনেই সেরে যায়। আবার অনেক ক্ষেত্রে হেয়ার অয়েলের পাশাপাশি ঔষধ সেবনেরও প্রয়োজন। তাছাড়া মাঝে মধ্যে চুল পড়ে যাওয়া মানেই সমস্যা মনে করার কোন কারণ নেই। প্রত্যেক মানুষের জীবনে চুলের অনেকগুলি বৃদ্ধি প্রক্রিয়া আছে। সে সময় নতুন চুল গজাতে পূর্বের পুরাতন চুলগুলি কোন রোগ-ব্যাধি ছাড়াই স্বাভাবিক নিয়মে পড়ে যায়। এটার লক্ষণ না বুঝে, চুলের অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া চুলপড়া বন্ধ করতে তখন ঔষধ সেবন বা চুলের চিকিৎসায় হেয়ার অয়েল ব্যবহার করলে চুল বৃদ্ধির স্বাভাবিক প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করবে এবং চুল ও মাথার ত্বককে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। সুতরাং কোন সমস্যায় কি প্রযোজ্য তাহা একমাত্র চিকিৎসকই নির্ধারণ করবেন। সুতরাং চুলকে স্বাভাবিক ও সমস্যামুক্ত রাখতে বৎসরে একবার চুলের অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।