







আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের নতুন পদ্ধতি এনটি পিআরপি থেরাপীর প্রাকৃতিক চিকিৎসায় টাক্ মাথায় চুল গজানো সম্ভব।
বর্তমানে প্রায় ৮০% মহিলা-পুরুষ চুলপড়া ও টাকের সমস্যায় আক্রান্ত হলেও সঠিক চিকিৎসা নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে। চুল কোথায় গজায়, কিভাবে উঠে বা আসলেই গজায় কিনা এবং সরাসরি চুলের কোন চিকিৎসা কেন্দ্র আছে কিনা, এ সম্পর্কে আমাদের জানা দরকার।চুলের জন্ম হয় হেয়ার বাল্বে, হেয়ার বাল্বটি প্রাকৃতিক নিয়মে বিভিন্ন উপাদানে সৃষ্ট এবং শুধুমাত্র সুস্থ বীজকোষেই সৃষ্টি হয়। চুলের উপরের অংশটি (কিউটিক্যাল) মাথার উপরে দৃশ্যমান হলেও মাঝখানের অংশটি (করটেক্স) স্কালপের মাংসপেশীর মধ্যে সংযুক্ত থাকে এবং তার নিচের অর্থাৎ গোড়ার অংশটি (মেডুলা) মাথার নিচে প্রাকৃতিক নিয়মে সৃষ্ট বীজকোষের সাথে সংযুক্ত। বাস্তব ও বিজ্ঞানভিত্তিক তথ্য,বীজ থেকেই চারা হয় এবং চারা থেকেই গাছ হয়। বীজকোষ মরে গেলে হেয়ার বাল্বও সৃষ্টি হবে না এবং চুলও গজাবে না। তবে মাথা টাক হয়ে গেলেও স্কাল্পের নীচে বীজকোষ জীবিত থাকলে আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থায় টাক মাথায় চুল গজানো সম্ভব। বীজকোষ জীবিত না মৃত তাহা দেখার জন্য আমাদের কাছে রয়েছে আধুনিক টেকনোলজি।
চুল পড়া ও টাকের চিকিৎসায় বাস্তব তথ্য
বিভিন্ন কারণে মাথার উপরের চুলগুলি পড়ে গেলে চুলের উপরের অংশ ও গোড়ার সংযোগ ছিদ্রটি (লোমকূপ)ক্রমান্বয়ে বন্ধ হয়ে যায়। তখন হেয়ার বাল্বসহ চুলের নিচের অংশটি অবরুদ্ধ অবস্থায় বীজকোষে আস্তে আস্তে ড্যামেজ হয়ে যায়। এক পর্যায়ে বীজকোষ প্রয়োজনীয় অক্সিজেন ও খাবার প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হয়। দ্রুত চিকিৎসা না নেওয়ায় অনেক বীজকোষ মারা গেলেও দীর্ঘদিন ড্যামেজ অবস্থায় অনেকগুলো বীজকোষ জীবিত থাকে। এই ড্যামেজ বীজকোষগুলো আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের উদ্ভাবিত মেশিনসমূহের মাধ্যমে দেখা যায় এবং রোগীকেও দেখানো যায়, যাতে করে চুলের সমস্যা ও চিকিৎসা সম্পর্কে ধারণা নিতে পারে। আমাদের উদ্ভাবিত প্রাকৃতিক প্রোডাক্ট ও চিকিৎসা বিজ্ঞানের আধুনিক টেকনোলজির চিকিৎসা ব্যবস্থায় রোগাক্রান্ত ঐ বীজকোষগুলিকে সুস্থ করা সম্ভব এবং সুস্থ হলেই বীজকোষে পুনরায় হেয়ার বাল্বের উত্থান ও চুলের জন্ম হয়। আধুনিক মেশিন ও প্রোডাক্টের চিকিৎসার মাধ্যমে মাথার ত্বকের বন্ধ হয়ে যাওয়া বীজকোষের সাথে সংযোগ ছিদ্রটি (লোমকূপ)অবমুক্ত করলেই ভিতর থেকে মাথার উপরে চুলটি দৃশ্যমান হয়ে ক্রমান্বয়ে উঠে আসে, যাকে আমরা সাধারণত গজানো বলি। উক্ত চিকিৎসা ব্যবস্থায় বংশগত সমস্যায় আক্রান্ত চুলগুলিও স্বাস্থ্যবান হয়ে মোটামুটি আরো অধিক সময় বেঁচে থাকে। বর্তমানে চুল চিকিৎসা বিজ্ঞানের একটি অংশ।সুতরাং নারী-পুরুষের বয়স-ভেদে আলাদা আলাদা চিকিৎসা ও ঔষধের ব্যবস্থা রয়েছে। অতএব,বর্তমানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া চুলের চিকিৎসার নামে একটি মাত্র রেডিমেইড হেয়ার অয়েল বিভিন্ন বয়সের নারী ও পুরুষের চুলপড়া বন্ধ করা বা চুল গজানোর জন্য যথেষ্ট নয়।
চুল কেন পড়ে এবং টাক্ কেন হয়?
মূলত খুশকী, ফাংগাস, স্কাল্পের তৈলাক্ততা, চুলের পরিচর্যার অনভিজ্ঞতা,বংশগত সমস্যা, পুষ্টিহীনতা, দুষিত পরিবেশ, দুষিত পানি, বিষাক্ত খাবার, হরমোনের ভাসাম্যহীনতা, শরীরের অন্যান্য রোগ-ব্যাধি, চুলের প্রয়োজনীয় এ্যামাইনো এসিড, ভিটামিন, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাংগানিজ, সেলেনিয়াম, কপার, জিংক, প্রোটিন ও আয়রনের অভাবেই অকালে চুলপড়া ও টাকের সৃষ্টি হয়। চুল পড়ার মধ্য দিয়েই টাকের সৃষ্টি, প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসা নিলে অনেক টাক্ প্রতিরোধ করা যায়।
চুলপড়ার সমস্যা ও চিকিৎসায় প্রথম করণীয়
চুলের গোড়ার সুস্থ ত্বক্ চুলকে শক্ত করে ধরে রাখে। তবে চুল যত মজবুত ও স্বাস্থ্যবান হউক না কেন, চুলের গোড়ার ত্বক বিভিন্ন কারণে আক্রান্ত হয়ে রোগাক্রান্ত ও দুর্বল হয়ে পড়ার সাথে সাথে চুলপড়া শুরু হয়। ভাল ফসল পেতে প্রথমে জমিকে যেমন দূষণমুক্ত ও ভিটামিনযুক্ত করা হয়, তেমনি চুলের চিকিৎসায় প্রথমেই চুলের গোড়ার ত্বকের (স্কালপ) অবস্থা নির্ণয় ও চিকিৎসা নিয়ে ত্বককে রোগমুক্ত করা দরকার। ইহা না করে সরাসরি চুলপড়া বা টাকের চিকিৎসায় বিভিন্ন অয়েল, স্প্রে ও লোশন জাতীয় ঔষধ সমূহ প্রতিনিয়ত ব্যবহার করলে কোন স্থায়ী সমাধান হবে না, মুষ্ঠিমেয় রোগীর ক্ষেত্রে সাময়িক চুলপড়া বন্ধ বা বীজকোষ বিহীন কিছু অস্থায়ী চুল গজালেও লোশন ব্যবহার বন্ধ করার সাথে সাথে ৯০% রোগীর ক্ষেত্রে নতুন গজানো চুলের সাথে পূর্বের অনেক স্বাস্থ্যবান চুলও ঝরে যায়।সুতরাং চুলের চিকিৎসার পাশাপাশি প্রথমে চুলের গোড়া অর্থাৎ স্কাল্পের সমস্যা নির্ণয় করে স্কাল্পকে দূষণমুক্ত করা দরকার।
আমাদের প্রাকৃতিক চিকিৎসা ব্যবস্থা
হেয়ার এন্ড স্কাল্প-এর উপরে (ট্রাইকোলজি) ট্রেনিংপ্রাপ্ত ও ১৪ বৎসরের অভিজ্ঞ রেজিস্টার্ড ইউনানী চিকিৎসকের তত্বাবধানে আধুনিক মেশিনে চেক-আপের পরে টাক্ মাথায় চুল গজানোর সম্ভাবনা থাকলেই, সেই রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তাছাড়া পুরুষ- মহিলার অকালে চুলপড়া বন্ধ করার জন্য একটি চলমান ও ফলপ্রসু চিকিৎসা ব্যবস্থা রয়েছে। রোগী না দেখে বা সমস্যা নিরুপন না করে পৃথিবীর কোথাও সু-চিকিৎসা হয় না। আমাদের চিকিৎসা সমূহ সম্পূর্ণ পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ামুক্ত ও প্রাকৃতিক, অর্থাৎ কোন কাঁটা ছেড়া নাই, কোন রক্তপাত নাই এবং ব্যাথা-বেদনা নাই। পুরুষ-মহিলার চুলপড়া বা টাকের যে কোন সমস্যায় আধুনিক সেবা প্রদানে আমরা অঙ্গীকার বদ্ধ।